সারারাত প্রেমিকের বাসার সামনে অপেক্ষার পর থানায় প্রেমিকা
বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে সারারাত অনশন করেছেন প্রেমিকা
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘শারীরিক সম্পর্কের’ পর বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে সারারাত অনশন করেছেন প্রেমিকা। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত অনশনের পর থানায় যান তিনি।
অনশনের সময় রাতে তাকে পাহারা দেয় গ্রাম পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বড় টাপ্পু গ্রামের ঘটনা এটি।
বিজ্ঞাপন
বিনোদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. তুফানী বলেন, বড়টাপ্পু গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে অন্তরের (১৮) সঙ্গে শাহবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর রিফুজিপাড়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর ৫-৬ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। শারীরিক সম্পর্কের পর স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় অন্তর। মঙ্গলবার বিকেলে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রী অবস্থান নেয়। তখন অন্তরের পরিবারের লোকজন মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় বাড়ির সামনের দোকানে সারারাত বসে থাকে স্কুলছাত্রী।
স্কুলছাত্রীর ভাষ্য, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ছয় মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে অন্তর। এখন বলছে বিয়ে করবে না। তাই তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। আমি এনজিওতে চাকরি করি। অন্তরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও আমার মোবাইলে ছিল। এখানে আসার পর অন্তর ও তার পরিবারের লোকজন মোবাইল কেড়ে নিয়ে ওসব ছবি-ভিডিও মুছে দেয়। আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে অন্তরের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে অন্তরের বাবা মতিউর রহমান বলেছেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। যদি ছেলের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ দিতে পারে তাহলে তাদের বিয়ে দেব।
ইউপি সদস্য মো. তুফানী বলেন, বিয়ের দাবি নিয়ে মেয়েটি অন্তরের বাড়ি যায়। তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। পরে বাড়ির সামনের দোকানে মেয়েটি অবস্থান নেয়। দোকানে অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে গ্রাম পুলিশকে পাহারায় রাখা হয়। রাতে দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বিষয়টি সমাধান করা যায়নি। কারণ মেয়ের পরিবার বিয়ে দিতে চায়, ছেলের পরিবার বিয়ে করাতে চায় না।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, বুধবার বিকেলে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী মেয়েটি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএম