হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছালাম উল্ল্যা নামে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক প্রতিবন্ধীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক ছালাম উল্ল্যা পার্শ্ববর্তী সম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু শিশু ধর্ষণ নয়, ছালাম উল্ল্যা ইতোপূর্বেও একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় ঘটিয়েছেন এলাকায়। বয়স বেশি হওয়ার কারণে গ্রাম্য সালিসে প্রতিবার বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ছালাম উল্ল্যা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

তবে, এবারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। ছালাম উল্ল্যা ধরতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করেছেন। এ ঘটনায় তার পরিবারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।

ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটির মা-বাবা প্রথমে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। খবর পেয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
 
এদিকে, রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা বেগমের আদালতে শিশুটি জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে শিশুটিকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) ভজন চন্দ্র দাশ জানান, শিশুটি জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় পুটিজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন আহমেদ তারা মিয়া জানান, ছালাম উল্ল্যার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রযেছে। গ্রামের লোকজন অনেকেই মান সম্মানের ভয়ে এতদিন প্রকাশ করেনি। 

তিনি বলেন, ছালাম উল্ল্যা বৃদ্ধ মানুষ। তার ৪ সন্তান রয়েছে। একাধিক নাতি নাতনিও রয়েছে। তবুও তিনি এমন কাজ করছেন। তার এমন কাণ্ডে লজ্জিত গ্রামের মানুষজন।

এ ঘটনায় বাহুবল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান জানান, পুলিশ অভিযুক্ত ছালাম উল্ল্যাকে গ্রেফতার করতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনা শোনার পর পরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ প্রশাসন খুব শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও একাধিক ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন বলে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। তার যথাযথ শাস্তি না হওয়ায় অপরাধ করেই যাচ্ছে।  

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এমএএস