আহত এক ছাত্রলীগ কর্মী

চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধে ছাত্রলীগের ৩ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তিন কর্মীকে কুপিয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিজিরা বাজারে ঘটনাটি ঘটে। আহত ছাত্রলীগ কর্মী রাজিব মল্লিক, রায়হান মুন্সী ও জুবায়েরকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুুরুল ইসলাম জানান, কালিজিরা বাজারে মারামারির ঘটনা শুনেছি। তবে কোনোপক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, চাঁদাবাজি নিয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদারের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পির বিরোধ সৃষ্টি হয়। সোলায়মান বাপ্পি কর্মীদের দিয়ে কালিজিরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন। সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদারের সমর্থকরা এর প্রতিবাদ জানালে সোলায়মান বাপ্পির সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
 
ওই বিরোধের কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর সভাপতি ও সম্পাদক আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে অংশ নেন মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। সভাপতির মিছিলে লোকজন বেশি হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি ও তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মুন্সী, রাজিব মল্লিক ও জুবায়ের। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি তার সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেন।
 
আহত ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মুন্সী বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় সকালে পরিবহন ঠিকাদার মনিরকে মারধর করেন সাধারণ সম্পাদক ও তার সমর্থকরা। আমারা মারধরের প্রতিবাদ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোলায়মান বাপ্পি হামলা চালান।
 
আহত রাজিব মল্লিক বলেন, আমরা দলীয় কার্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাধারণ সম্পাদক আমাদের কুপিয়ে জখম করেন।
 
২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদার বলেন, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বাপ্পি বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তাই থানায় অভিযোগ দেইনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে সোলায়মান বাপ্পি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আমি পারিবারিকভাবে সচ্ছল। চাঁদাবাজির প্রয়োজন হয় না। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সভাপতি কেন আলাদা মিছিল নিয়ে গেছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। হামলার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি দাবি করেন, সকাল থেকে তিনি বাজারে যাননি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর