মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতরাই দোষী বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হাতবোমা তৈরি করছিল তারা। আগামী ১১ অক্টোবর ওই ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে।

পুলিশ বলছে, সোমবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে সিডিখান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে বসে হাতবোমা তৈরি করছিলেন কয়েকজন যুবক। রাত ১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ওই ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময়ে আরও কয়েকজন আহত হয়। তবে তারা ঘটনার পর আত্মগোপনে যান।

গুরুতর আহত হন ওই ইউনিয়নের মাথাভাঙা গ্রামের নুরাই বেপারীর ছেলে ইয়ামিন বেপারী (৩৮) ও দক্ষিণকান্দি গ্রামের মৌজালী শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার (২৬)। আহতরা উভয়েই ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার নির্বাচনী কর্মী। আর মান্নান মোল্লা চেয়ারম্যান চান মিয়া শিকদারের অনুসারী।

তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গ্রাম পুলিশ মিন্টু মোল্লা জানান, বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে তিনি গিয়ে দেখেন ইয়ামিন ও সুমন আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চান মিয়া শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি আমি রাতেই শুনেছি। কিন্তু মনোনয়নের জন্য আমি ঢাকায় আছি। কী কারণে এই বিস্ফোরণ বা তারা বোমা তৈরি করছিল কি না, নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো ইউনিয়নে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, আহত দুই ব্যক্তি বোমা তৈরি করতেছিল। বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে তারা আহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

থানায় এখনো মামলা না হলেও প্রক্রিয়াধীন উল্লেখ করে ওসি বলেন, আহতদের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সম্পৃক্ততা পেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ