ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলায় অনশনে ভাই
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলায় অনশনে ভাই
এবার অনশনে বসেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলার প্রতিবাদে অনশনে বসেন তিনি।
একই সঙ্গে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত এই মেয়র। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অনশন থেকে এ ঘোষণা দেন কাদের মির্জা।
বিজ্ঞাপন
কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই। ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করলেও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি’ ১৪ জানুয়ারি নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে এক পথসভায় এমন মন্তব্য করেন আবদুল কাদের মির্জা। যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
বিজ্ঞাপন
ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুক লাইভে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী।
২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে এমপি একরামুল করিমের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রচারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দেশি মানুষ, আসসালামু আলাইকুম। আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’
এরই প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বর থেকে বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিছিল শেষে সমাবেশ করা হবে। সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন কাদের মির্জা।
একরামুল করিম চৌধুরীর ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের পরিবারে রাজাকার কে? আমরা কীভাবে রাজাকার পরিবার হলাম। তাকে এর প্রমাণ দিতে হবে। আমরা জাতির কাছে বিচার চাই। আমি কোনো কথা যদি মিথ্যা বলি, আমার বিচার করুক। আর না হলে সে যেসব অন্যায় করেছে, তার বিচার করতে হবে। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। একই সঙ্গে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব আমরা।
এএম