ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চলছিল মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। ২২ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শৌখিন মাছ শিকারি ইউনুছ। সারাদিনে কেবল একটি মাছই ধরা দেয় তার বড়শিতে। আর এই এক মাছেই বাজিমাত করেন তিনি। প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকা পান ইউনুছ।

ইউনুছ আলী (৫৫) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আমতলা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার দিরেশ দিঘিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তার বড়শিতে আট কেজি ওজনের একটি কাতল ধরা পড়ে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীকচ্ছ বন্ধু কল্যাণ মৎস্য প্রকল্প নামে একটি সংগঠন দিরেশ দিঘিতে মাছ ধরার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে ৩১ জন মাছ শিকারি অংশ নেন। অন্য প্রতিযোগীদের মতো ইউনুছও সকাল ৬ টায় দিঘিতে বড়শি ফেলেন। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় তার বড়শির ছিপে প্রথম মাছটি ধরা পড়ে। কাতল মাছটির ওজন আট কেজি। এরপর আর সারাদিন তিনি কোনো মাছ ধরতে পারেননি। পরে ইউনুছই সবচেয়ে বড় মাছ শিকারের জন্য প্রথম স্থান অর্জন করেন। পুরস্কার হিসেবে পান দুই লাখ টাকা।

এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকার জামাল হোসেন ৫ কেজি ৩৫০ গ্রাম ও ৩ কেজি ৮৩০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে দ্বিতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কলীশিমা এলাকার হামদু মিয়া ৪ কেজি ৪৯৫ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের ফজল মিয়া ৩ কেজি ৪৬৫ গ্রাম ওজনের কাতল শিকার করে ষষ্ঠ হয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। একই গ্রামের মাসুম মিয়া ৩ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে সপ্তম হয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার টাকা।

সরাইল উপজেলা শৌখিন মৎস্য শিকার সমিতির সভাপতি রতন বক্স জানান, গত ২৮ আগস্ট মৎস্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ৪ কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে প্রথম হয়েছিলেন। তখন তিনিও দুই লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছিলেন। আগামী ১৫ অক্টোবর সরাইল সরকারি কলেজ দিঘিতে আরেকটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি