মায়ের কোলে ফিরে এল ২১ দিনের শিশু তাহসিন

যশোরের শার্শায় চুরি হওয়া যাওয়া ২১ দিনের শিশু তাহসিনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার বাগআঁচড়া বাজার থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা দেওয়ার কথা বলে মায়ের কোল থেকে কৌশলে চুরি হওয়ার তিন দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া গ্রাম থেকে শার্শা থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের যৌথ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। শার্শার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

শিশু তাহসিন উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও জান্নাতুল দম্পতির একমাত্র সন্তান।

গ্রেফতাররা হলেন— কলারোয়া সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মিলন গাজীর স্ত্রী সালমা খাতুন (২৩) ও সালমার শ্বশুর লুৎফর গাজী (৫৫)। 

পুলিশ জানায়, গত ২০ জানুয়ারি অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী এনজিওকর্মী পরিচয় দিয়ে শিশুটির পিতা আশরাফুলের বাসায় গিয়ে স্ত্রী জান্নাতুলকে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেবে বলে প্রলোভন দেখায়। সেই মোতাবেক অজ্ঞাত সেই নারী আশরাফুলের বাসা থেকে গেল বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ৩০ হাজার টাকা দেবে বলে তাহসিনের মা ও দাদাকে বাগআঁচড়া বাজারে নিয়ে আসেন। 

একপর্যায়ে উভয়ে নাস্তা করার জন্য বাগআঁচড়া বাজারের রিফাত হোটেলে প্রবেশ করলে অজ্ঞাত নারী শিশু তাহসিনের মা ও দাদাকে নাস্তার টেবিলে বসিয়ে নাস্তা করায় এবং তাহসিনকে নিজের কাছে নিয়ে হোটেল থেকে কৌশলে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর হোটেলের চারপাশ এবং মেইন সড়কগুলো খোঁজাখুঁজি করেও শিশুসহ ওই নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পর দিন ২১ জানুয়ারি শিশুটির পিতা আশরাফুল থানায় অপহরণের অভিযোগ দিলে শিশুটিকে উদ্ধারে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ। পরে শার্শা থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় সিসিটিভির ফুটেজের দৃশ্য কাজে লাগিয়ে শনিবার রাতে কলারোয়া সোনাবাড়ীয়া গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে শিশুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার ওই শিশুকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এমএসআর