চাঁদপুরে মেয়রের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
মেয়র মাহফুজুল হকের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় তিন সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিযুক্ত মেয়রের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। শুধু তা-ই নয়, তাকে ও তার পরিবারের স্বজনদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন সোনিয়া।
১০ বছর আগে মাহফুজুল হকের সঙ্গে সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। মাহফুজুল হক ৫ বছর আগে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তার পরিবর্তন শুরু হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তার স্ত্রী
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে মেয়র মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন সোনিয়া আক্তার। এ সময় তিনি জানান, তাকে না জানিয়ে তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ বছর আগে মাহফুজুল হকের সঙ্গে সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। মাহফুজুল হক ৫ বছর আগে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তার পরিবর্তন শুরু হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তার স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
এ সময় সোনিয়া আরো অভিযোগ করে বলেন, মাহফুজুল হক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স্ত্রী সোনিয়া প্রায়ই এসবের প্রতিবাদ করতেন, কিন্তু উল্টো তাকে নির্যাতন করা হতো। কয়েক মাস আগে মাহফুজুল হক প্রথম স্ত্রী সোনিয়াকে না জানিয়ে কুমিল্লায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর প্রতিবাদ করায়ও মাহফুজুল হক সোনিয়াকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন এবং ঘর থেকে বের করে দেন। এ ছাড়া সোনিয়ার ভগ্নিপতির কাছ থেকে ঠিকাদারি ব্যবসার কথা বলে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা চাওয়ায় তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলে জানান সোনিয়া।
বর্তমানে সোনিয়া আক্তার তার ৩ সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। এবং এর প্রতীকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ ব্যাপারে মেয়র মাহফুজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও তার পরিবার লোভী প্রকৃতির। আমার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোনো দিনই হুমকি-ধমকি দিইনি। আমার স্ত্রী বলে বেড়াচ্ছেন আমি মাদকাসক্ত। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন কোনো সত্যতা পাওয়া যায় কি না। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেও করা হচ্ছে। আমার স্ত্রী ও তার পরিবার টাকার লোভে এসব করাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এনএ