মানিকগঞ্জে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে এক স্কুলছাত্রী। রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী ভবনের একটি কক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

অভিযান শেষে বাল্যবিবাহের সঙ্গে জড়িত থাকায় বরের মামাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং কনের বোনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচারক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন।

রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন, জেলার বারের আইনজীবী ভবনের একটি কক্ষে জেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হওয়ার কথা রয়েছে।

এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রোববার সকাল আটটা থেকেই আইনজীবী ভবনের ওই কক্ষের আশপাশে নজরদারি করার জন্য একজনকে দায়িত্ব দেন তিনি। পরে খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে বর-কনেসহ উপয় পক্ষের দুজনকে আটক করা হয়। এরপর কনেকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের বোন লাকি আক্তারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বরের মামা জাকির হোসেনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

আলী রাজীব মাহমুদ বলেন, স্কুলছাত্রী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নারাঙ্গাই এলাকায় থাকে। তার বাড়ি ঘিওর উপজেলায়। সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ওই নারী নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রী বিয়ে দেবেন না মর্মেও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এনএ