ঘরের শোভা বাড়াতে অ্যাকুরিয়ামের জুড়ি নেই। তবে মেহেরপুরে এখন বাণিজ্যিকভাবে অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এটা একদিকে যেমন মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে তেমনি অনেকেই আয়ের উৎস হিসেবে নিয়েছেন। মৎস্য অধিদফতর বলছে, খুব অল্প জায়গা আর সীমিত পুঁজি নিয়ে বেকার যুবকরা অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করে তাদের কর্মের ব্যবস্থা করতে পারে।

মেহেরপুর অ্যাকুরিয়াম ফিস বাজারের স্বত্বাধিকারী রাব্বী আহমেদ ইমন বলেন, আমি প্রথমে মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য অল্প কিছু মাছ কিনে আনি। পরে সেগুলো বালতিতে রাখি। কয়েকদিন পর দেখি, বালতির মধ্যে মাছের পোনা হয়েছে। তারপর মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলায় শৌখিন প্রজাতির মাছের চাহিদা বেশি দেখে অ্যাকুরিয়াম ও মাছের ব্যবসা শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, মেহেরপুরে প্রায় বাড়িতেই ৩০-৪০ প্রজাতির বিদেশি মাছ পালন করা হচ্ছে। এসব মাছের ভেতর প্যারট, অস্কার, এঞ্জেল, কমেট, গোল্ড ফিস, লিচু গোল্ডফিস, বাকমোর, রেডক্যাপ, গাপ্পি, পাটি, সোড টেইল, মলি, ফাইটার, গোরামী, জেব্রা, বেলুন মলি, গাস ফিস, সার্ক, টাইগার সার্ক রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ মাছ কিনতে আসে। অনেকেই আবার ফোনে অর্ডার দিচ্ছে। আমরা তাদের বাড়িতে মাছ পৌঁছে দেই।

অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ী নিশাত বলেন, রঙিন মাছ দেখলেই মন ভালো হয়ে যাই। প্রথমে শখ করে কিনে এসেছিলাম। এসব মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় নিজের ঘরের শোভা বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করি। কেউ কেউ ছোট ছেলে-মেয়েদের আবদার মেটাতে, কেউ আবার নিজের শখের বসে এবং বসতবাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করছেন। তবে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা শখ পূরণের পাশাপাশি মাছ চাষ করে সংসারের খরচ চালাচ্ছে।

আগ্রহী যুবক টিটু মিয়া জানায়, তার বন্ধুর বাড়িতে অ্যাকুরিয়ামে বিদেশি র্অধশত প্রজাতির মাছ রয়েছে। সে প্রতিনিয়ত মাছ বিক্রি করে প্রতি মাসে মোটা টাকা আয় করছে। আমিও পরামর্শ নিয়ে মাছ চাষ করার চেষ্টা করছি।

মেহেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ বলেন, বাণিজ্যিকভাবে শৌখিন প্রজাতির মাছের বাজার ব্যবস্থাপনা করা হলে অনেকেরই এটা থেকে আয় বাড়বে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। 

এসপি