গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী

রাজবাড়ীর কালুখালীতে গ্রাম্য সালিশে রাশেদুল শেখ (২৮) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গে রশি দিয়ে ইট বেঁধে স্কুলমাঠে ঘোরানোর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চর পাতুরিয়া স্কুলমাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রোববার বিকেলে চর পাতুরিয়া স্কুলমাঠে সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের (আলী) নেতৃত্বে একটি গ্রাম্য সালিশ ডাকা হয়। সালিশে রাশেদুল শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি স্বরূপ তার পুরুষাঙ্গে রশি দিয়ে ইট বেঁধে স্কুল মাঠে ঘোরানো হয়।

এর ফলে রাশেদুলের পুরুষাঙ্গ থেকে রক্তপাত হতে থাকে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পুলিশকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেওয়া হয়।

এদিকে, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে রাশেদুলকে বাড়িতে অবরুদ্ধ রেখে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেন। পরবর্তীতে জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে কালুখালী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে রাশেদুলের বাবা ইমান আলী শেখ বাদী হয়ে কালুখালী থানায় মামলা করেন। পরে কালুখালী থানা পুলিশ চেয়ারম্যানসহ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে। 

কালুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রাম্য সালিশে রাশেদুলকে দোষী সাব্যস্ত করে তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। পরবর্তীতে ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পেরে আমরা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এ বিষয়ে কালুখালী থানায় একটা মামলা হয়েছে। পরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছি।

তিনি আরও বলেন, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না। এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। ধর্ষণ, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং, মাদক, জঙ্গি, হত্যাসহ যে কোনো ধরনের ফৌজদারী অপরাধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হলে বা তথ্য গোপন করলে সংশিষ্ট পক্ষের বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসপি