আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশালের ৩টি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে। সদর উপজেলার ৬টি, বানারীপাড়ার ১টি এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে ভোটের রাজনীতি। চলছে গণসংযোগ এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রদান।

নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে, চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে মোট ৫৭৫ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করবেন।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে বুধবার (২৭ অক্টোবর) প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম। 

তিনি জানান, ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলার কোনো ‍ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ‍ভোট গ্রহণ হবে না বলে নির্দেশনা রয়েছে। ‍ভোট সুষ্ঠু করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।

জেলা নির্ব‍াচন কার্যালয় জানিয়েছে, ১২টি ‍ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন ৫০ জন। ‍এর মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ৪৯ জন। যার মধ্য থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ১০ জন। ‍

ওই ১২ ‍ইউনিয়নের ১০৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৪৫ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩৬ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। যার মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪১০ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা পেয়েছেন।

আগৈলঝাড়া ‍উপজেলার রাজিহার, বাকাল, বাগধা, গৈলা, রত্নপুর ‍ইউনিয়নে ক্ষমতসীন দলের মনোনীত ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ‍ফলে বাকি ৭ ‍ইউনিয়নে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ‍এদের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ‍ইউনিয়নে ৭ জন, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে ৩ জন, চরমোনাই ইউনিয়নে ৫ জন, চরকাউয়া ইউনিয়নে ৭ জন, চাঁদপুরা ইউনিয়নে ৫ জন, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে ৩ জন ‍এবং বানারীপাড়া ‍উপজেলার সৈয়দকাঠী ‍ইউনিয়নে ৪ জন। ‍

প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই