মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ১৪টি যানবাহনসহ ফেরি আমানত শাহ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের চালক ও মালিকরা। তারা বিআইডব্লিউটিএ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। 

দুটি কাভার্ডভ্যানের মালিক মাগুরার হারুন অর রশিদ বলেন, আমার দুইটা গাড়ি দুই দিনের বেশি সময় পানিতে ছিল। গত বৃহস্পতিবার গাড়ি দুটি উদ্ধার হয়েছে। গাড়িগুলো কেনার সময় ১২ লাখ টাকা ঋণ করেছিলাম। গাড়িগুলো দীর্ঘ সময়  পানির নিচে থাকা কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন গাড়ি মেরামত করতে অনেক টাকা দরকার। কেমনে গাড়ি মেরামত করমু, কেমনে কিস্তি দিমু আর কীভাবে সংসার চালামু।

তিনি বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী দুজনে পোশাক কারখানায় কাজ করতাম। কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম। এরপর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দুটি কাভার্ডভ্যান কিনছি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ১ লাখ ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ইঞ্জিনের কাজ করাইছি। যানবাহন মেরামতের জন্য যদি কর্তৃপক্ষ কিছু আর্থিক সাহায্য করতো আমরা এই যাত্রায় বাইচা যাইতাম।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ভুক্তভোগী ট্রাকচালক আরিফ বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমার ট্রাকটি পাওয়া গেছে। পাড়ে ভেড়ানো হয়েছে, কখন ট্রাক বুঝিয়ে দেবে জানি না। কতজনকে জিজ্ঞেস করলাম কেউ বলতে পারে না। কাল থেকে ঘাটে পড়ে আছি, কেউ খোঁজখবর নেয় না।

পটুয়াখালীর এক ট্রাক মালিক সোয়েব বলেন, কিস্তির টাকায় গাড়ি কিনছি, আমার গাড়িটার অনেক ক্ষতি হয়েছে। মেরামত করতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। এই গাড়িটার ওপরে আমার সংসার চলত। কর্তৃপক্ষ আমাদের একটু আর্থিক সাহায্য করলে আমরা কিছুটা হলেও বাঁচতাম।

বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা শাখার ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি। যানবাহনের বীমা করা থাকলে তারা সেখান থেকে সুযোগ-সুবিধা পাবে।

সোহেল হোসেন/আরএআর