ফেরিতে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ফেরি পরিচালনা করে, আমরা যেমন তাদের সুযোগ-সুবিধা দেখব, তেমনি তাদের ফেরি চালানোর ক্ষেত্রে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ফেরির চালকসহ স্টাফদের সচেতন করতে হবে। সচেতন করতে পারলে এই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যাবে। তা না হলে এ রকম দুর্ঘটনা সামনে আরও ঘটতে পারে।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) মাদারীপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন বন্দরে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচেতন করার লক্ষ্যে সভা করতাম। তাদের সমস্যার কথা শুনতাম। তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতাম।

তিনি আরও বলেন, আমি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম। আমরা দেখছি এখন অনেক বড় বড় জাহাজ তৈরি হচ্ছে, সে জন্য ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ আনার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিলাম, সেটা এখনো কার্যকর হয়নি। সেটা যদি কার্যকর না করা হয়, তাহলে এসব জাহাজ বা ফেরি উত্তোলন করা অসম্ভব হবে না। তবে এখন দুটি জাহাজ ফেরি উদ্ধারে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মস্তফা রাসেলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান খান, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, পৌর কাউন্সিলর, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

নাজমুল মোড়ল/এনএ