ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে হওয়া চেক জালিয়াতির মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। দুটি মামলায় গত সেপ্টেম্বর মাসেই আদালত তাকে খালাস দেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর শফিকুল ইসলাম চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে তিনি মামলা থেকে খালাস পাওয়ার তথ্য জানান। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের ৮৮৯/২০২০ ও ১০৪৩/২০১৯ নং মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম ২০৬/২০২১ নং আপিল মামলার আদেশ দেন। ওই আদেশে বলা হয়, মামলার বাদী মোতাহার হোসেন হলফি জবানবন্দি ও লিখিত দরখাস্তে উল্লেখ করেন যে, শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মামলার ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়েছে এবং তিনি বাদীর পাওনা টাকা পরিশোধ করেছেন।

আদেশে আরও বলা হয়, আসামি শফিকুল ইসলামকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো। অন্য আরেকটি আপিল মামলায় (মামলা নং ২০৭/২০২১) গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু ওবায়দা অনুরূপ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ইটভাটার ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান হয়েছিল। সব শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ায় আমার ব্যবসা দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে আমার বিরুদ্ধে দুই চেকের মামলা হয়েছিল। মামলার রায় হওয়ার পর আমি টাকা পরিশোধ করে খালাস পাই। 

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর