নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় রংপুর থেকে ঠাকুরগাঁওগামী যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ১৮ জন।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সৈয়দপুর-রংপুর বাইপাস সড়কের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুল আনাম।

নিহত দুজন হলেন সহিদার ইসলাম (৪০)। তিনি মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং রংপুরের বেতপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে। অন্যজন মনসুর আলী (৫৯)। তিনি দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব মল্লিকপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, রংপুর থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে সৈয়দপুর টার্মিনাল ছেড়ে সামান্য এগিয়ে যেতেই মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে পৌঁছে ফাহিম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মিনিবাস হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালককে চাপা দিয়ে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স চালক সহিদার ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন।পরে বাস খাদে পড়লে মনসুর আলী নামের এক যাত্রী নিহত হন।

পরিদর্শক (তদন্ত) আরও জানান, এ ঘটনায় প্রায় ১৮ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েই সৈয়দপুর ও নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং সৈয়দপুর থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছে।

এদিকে দূর্ঘটনার পর পরই মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারী ও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ১ ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধারকাজ ও অবরোধ অব্যাহত থাকায় সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে যায়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পলাতক চালক-সহকারীকে দ্রুত আটকের আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা অবরোধ সরিয়ে নেন।

তিনি আরও জানান, রংপুর থেকে ঠাকুরগাঁওগামী বাসটি খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এনএ