ডুবে যাওয়া ফেরি তুলতে ২ কোটি টাকার চুক্তি

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ'র উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। ফেরিটি উদ্ধারে এবার চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জিনোইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সঙ্গে মৌখিক চুক্তি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। প্রায় দুই কোটি টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জিনোইন এন্টার প্রাইজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বদিউল আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে অংশগ্রহণ করবে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক। পাঁচটি শক্তিশালী উইন্স ট্রাক দিয়ে ফেরিটি উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে উদ্ধারকারী কর্মীরা। ফেরি উদ্ধারের বিষয়ে ডুবুরি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে এবং তাদের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ'র হামজা ও রুস্তম জাহাজের উদ্ধার সক্ষমতা ১২০ টন। আর দুর্ঘটনা কবলিত ফেরি আমানত শাহের ওজন, ভেতরে জমে থাকা পানি আর পলি (বালু) মিলে, প্রায় এক হাজার টনের মতো হবে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।

গত সপ্তাহের বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ১৪টি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান এবং চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ডুবে যায় ফেরি আমানত শাহ। এরপর চার দিন অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া সব যান উদ্ধার সম্পন্ন করে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা রুস্তম। তবে ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা নেই।

সোহেল হোসেন/আরআই/জেএস