হেলে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, আতঙ্কে কৃষকরা
একে তো মরিচা ধরা খুঁটি। তার ওপর হেলে পড়েছে। তবে একটি-দুটি নয়, ২০টির বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি এভাবেই দাঁড়িয়ে আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর-রহনপুর সড়কের পাশে মরিচাডাঙ্গা এলাকায়। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দিন পার করছেন কৃষকরা।
গোমস্তাপুর সদর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে কৃষক এবাদুর রহমান। মরিচাডাঙ্গায় বেগুনের জমি রয়েছে তার। সোমবার (০১ অক্টোবর) জমিতে নিড়ানির কাজ করছিলেন তিনি। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক তারগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুঁটিগুলোতে মরিচা ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকলেও কোনো সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না। পশ্চিম দিকের কয়েকটি খুঁটি হেলে আছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিজ্ঞাপন
পেয়ারা বাগানে কাজ করছিলেন শ্রমিক আমিন। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে এখানে কাজ করছি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাথার ওপর থাকা খুঁটি ও তারের দিকে তাকাতে হচ্ছে। কখন কী বিপদ হয়। প্রায় ২০টি খুঁটি এভাবেই হেলে আছে। তারগুলো তেমন মজবুত নয় তার মধ্যে ৩-৪টি খুঁটি অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় রাখাল কালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুঁটি ও তারের নিচে গরু চরাতে ভয় লাগে। গরু যদি খুঁটিতে ধাক্কা দেয় বা স্পর্শ করে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘট তে পারে। কারণ গরুর তো বোঝার সক্ষমতা নেই পোলগুলো নড়বড়ে হয়ে আছে। তাই সবকিছু ভেবে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দূরে দূরে গরু চড়াই।
বিজ্ঞাপন
জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি করেন এক জমির মালিক আতাউর রহমান। তিনি বলেন, নেসকোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের অবহেলার কারণে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এমনভাবে খুঁটিগুলো ৫-৬ মাসের বেশি সময় ধরে রয়েছে।তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
গোমস্তাপুর নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরিচাডাঙ্গা লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে। দুই-এক মাসের মধ্যে পুরাতন সংযোগ উঠিয়ে নতুন সংযোগ স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন হবে।
জাহাঙ্গীর আলম/এসপি