মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজারের ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে (৩৬) কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে বিদেশ যাওয়ার পথে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস দল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় কমলগঞ্জের চৈত্রাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তফাজ্জুল আলী (৩৫) ও তার সহযোগী খালেদ মিয়াকে (৫৩) গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট, এয়ার টিকিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, দিরহাম ও টাকা উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তফাজ্জুল আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও জানান, গত ২ জুন নিহত নাজমুল আগে গ্রেফতার হওয়া আসামি জুয়েলকে হামলা করে পঙ্গু করে দেন। ওই ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। পরে প্রতিশোধ নিতে নাজমুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনামতো দুই-তিন মাস ধরে নাজমুলের ওপর নজরদারি চালান তারা। নাজমুল বিষয়টি বুঝতে পেরে কমলগঞ্জ বাজারে ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, আসামিরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন আগে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে। ৩১ অক্টোবর চৈত্রঘাট কালীমন্দিরের সামনে গাড়িটি নিয়ে আসামিরা অপেক্ষায় ছিল। এ সময় নাজমুলকে একা পেয়ে হামলা করে আসমিরা পালিয়ে যায়। তফাজ্জুল জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদেশে পলায়নের জন্য আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিল।

এদিকে সোমবার (১ নভেম্বর) হত্যাকাণ্ডে ভাড়ায় আনা মাইক্রোবাস জব্দ করে চালক আমির হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল কমলগঞ্জ থানার পুলিশ। সোমবার রাতে রাজনগর থেকে জুয়েল মিয়া নামে তালিকাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওমর ফারুক নাঈম/এনএ