চাইলে তথ্য জনগণ, দিতে বাধ্য প্রশাসন
‘এসেছে দেশে নতুন নীতি, তথ্য দিতে নেই ভীতি, চাইলে তথ্য জনগণ, দিতে বাধ্য প্রশাসন’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটে দিনব্যাপি তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার দুশতাধিক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৬টি স্থানে তথ্য কুটির এবং ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে সদর ও ফকিরহাটে এ প্রচারণা চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ও একশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এই গণ-সচেতনামূলক প্রচারণা চালায় স্বেচ্ছাসেবকরা। এদিন হাজারো মানুষকে হাতে-কলমে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ফরম পূরণের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ প্রচারণার মাধ্যমে ৫ হাজার মানুষকে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানায় তারা।
বিজ্ঞাপন
স্বেচ্ছাসেবক আলিম, ইমরান, স্নিগ্ধা জানান তথ্য অধিকার আইনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। আমাদের অনেক অধিকার আছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো তথ্য পাওয়ার অধিকার। কিন্তু আমাদের অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ এ আইন সম্পর্কে জানে না। তাই আমরা নিয়মিত মানুষকে তথ্য অধিকার বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
জুঁই, রুপা, মারজানাসহ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক জানান, আমরা বাঁধন ও একশন এইডের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকায় সেবামূলক কাজ করি। তারই অংশ হিসেবে আজকে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করছি।
আজ সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলা চত্বরে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ম. মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান কী ধরনের সেবা দেয় তা জানা জনগণের অধিকার। আর জনগণ এসব যত বেশি জানবে, প্রশাসন ও শাসনব্যবস্থা তত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিতুর রহমান পল্টন, বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান মিলন, বাঁধন প্রকল্পের সমন্বয়কারী খন্দকার মুশফিকুল ইসলাম, একশনএইডের ইন্সপাইরেটর ওবায়দুল্লাহ আল ইমনসহ তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা।
তানজীম আহমেদ/আরআই