পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করার অপরাধে ওই শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে মারধর করা হয়। 

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কচুগাড়ি গ্রামের আব্দুল বাকীর ছেলে রিয়াদ হোসেনসহ দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র গত ২৭ অক্টোবর মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে কাদের কাছে মোবাইল ফোন আছে তা জানতে চান।

এ সময় রিয়াদ হোসেনসহ পাঁচজন ছাত্র উঠে দাঁড়ায়। তাদের সবাইকে মারধর করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। রিয়াদ হোসেনের কানের ওপর এলোপাড়াড়ি থাপ্পড় মারলে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায় রিয়াদ।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রিয়াদের বাবা আব্দুল বাকী বলেন, আমার ছেলে আগে জহুরুল মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়তো। এখন পড়ে না। এই রাগে আমার ছেলেকে থাপ্পড় মেরেছেন প্রধান শিক্ষক। ছেলে কানে শুনতে পারছে না। ছেলেকে গুরুদাসপুরে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক জানিয়েছেন রিয়াদের কানের পর্দা ফেটে গেছে।

রিয়াদের বাবা বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্ত ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, শ্রেণিকক্ষে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় গতকাল আমি রিয়াদসহ পাঁচজন ছাত্রকে মেরেছি। বিষয়টি উচিত হয়নি। হঠাৎ করেই বিষয়টি ঘটে গেছে। এর জন্য আমি অনুতপ্ত।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম বলেন, শুনেছি এ ব্যাপারে আমার দফতরে একটি অভিযোগ এসেছে। এখনো হাতে পাইনি। তবে খুব শিগগিরই তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাকিব হাসনাত/আরএআর