চাঁদপুরের মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় এমভি লামিয়া নামে একটি লঞ্চের ধাক্কায় ইঞ্জিনচালিত যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় আহত রেজিয়া বেগম (৫৫) মারা গেছেন। এখনও নাছিমা বেগম (৩৫) নামে এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। 

এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টারসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর বড়স্টেশনে মেঘনার মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

রেজিয়া বেগম চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বলিয়ারচর গ্রামের আহাদ উল্লাহ বেপারীর ছেলের বউ।

আটকরা হলেন- লামিয়া লঞ্চের মাস্টার মতিউর রহমন (৪০), চালক মোস্তফা (৫৯), কেরানি মজিবুর রহমান (৭০) ও সুকানি আবু জাহি (২৫)। 

রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাফেজ আলী বেপারী বলেন, রেজিয়া বেগম আমার ছোট ভাইয়ের বউ। বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রাজরাজেশ্বর থেকে ট্রলারযোগে পরিবারের ৮-১০ জন চাঁদপুরের পুরাণবাজারে এসে নামে। পরে পুরাণবাজার থেকে যাত্রীবাহী নৌকায় করে বড়স্টেশন আসার সময় লঞ্চ ধাক্কা দেয়।

এ সময় আহত অবস্থায় কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রেজিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রেজিয়া মাথায় ও শরীরে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছিল। নিখোঁজ নাছিমা রেজিয়ার ছোট ভাইয়ের বউ। রেজিয়ার নাতি তানভির আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দুপুরে মোনহপুর থেকে লামিয়া লঞ্চটিকে আটক করে চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টারসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আরও এক নারী নিখোঁজ রয়েছে।

শরীফুল ইসলাম/এসপি