বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডিজেল-কেরোসিন পাচার ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি গেটে তেল পাচার রোধে তদারকি করতে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের।

সম্প্রতি ভারত থেকে আসা পণ্যবাহীট্রাকে তেল পাচার ও সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে তেল পাচারের সংবাদ প্রচার হওয়ায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ট্রাকের তেলের ট্যাংকি স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে লিপিবদ্ধ করছে এবং ওই গাড়ি যাওয়ার সময় আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, ভারতে যখন তেলের দাম ১০০ টাকা তখন বাংলাদেশে তেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা। গত ৩ নভেম্বর যখন বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৮০ টাকা করে তখন ভারতে প্রতি লিটার ৯০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে তেল পাচার করলে প্রতি লিটারে লাভ হয় ১৬-১৭ টাকা। এ জন্য ভারতে তেল পাচার হচ্ছে।

ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার আসলাম জানান, আমরা ভারত থেকে যে তেল নিয়ে আসি তাতে হয়ে যায়। তবে কোনো কারণে যদি কম পড়ে যায় তাহলে ৮/১০ লিটারের মত তেল সংগ্রহ করি কারও মাধ্যমে। আর সংগ্রহ করতে না পারলে আমরা বিএসএফ সদস্যকে বলে ওপার থেকে তেল নিয়ে আসি।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার মাহাবুবুর রহমান জানান, ভারতে তেল পাচার রোধে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়াতে হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ১০ দিন আগে থেকে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকগুলোর জ্বালানি তেল স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে ও নোট করে রাখা হচ্ছে। মালামাল খালাস করে ট্রাকগুলো ভারতে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে। আর পূর্বের নোট করে রাখা তেলের পরিমাণ মিলিয়ে ছাড়া হচ্ছে। 

যদি কোনো ট্রাক ভারতে ফিরে যাওয়ার সময় আগের তুলনায় জ্বালানি তেল বেশি পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতাউর রহমান/আরআই