প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাট মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল সিকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে শিশুটির চাচা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষককে ধরে এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে সন্ধ্যায় মামলা করা হলে বেতাগী থানা পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার দেখায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাট মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল সিকদার বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রকে প্রায়ই যৌন হয়রানি করতেন। একাধিকবার এমন কাণ্ড করে বাইরের কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখান। শিশুটি ভয়ে একপর্যায়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তার দাদি স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে প্রধান শিক্ষক দুলালের নির্যাতনের কথা তাকে জানায়। এরপর দাদি বিষয়টি শিশুটির চাচাকে জানান। বিষয়টি জানার পর বুধবার দুপুরে শিশুটির চাচা ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন এলাকাবাসীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ধরে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যান। তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতে থানায় যেতে বলেন। 

শিশুটির চাচা বলেন, আমার ভাতিজা বাসায় ওর দাদির কাছে থেকে পড়াশোনা করে। ওর বাবা-মা ঢাকায় থাকে। বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখে ওর দাদি জিজ্ঞাসা করলে সব খুলে বলে। একজন শিক্ষকের কাছে যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে তাহলে আমরা আমাদের বাচ্চাদের কার ভরসায় স্কুলে পাঠাব? আমি এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের নামে থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। মামলার পরপরই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, শিশুটির চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে। 

আরএআর