যশোরে ইজিবাইক চালককে হত্যায় বিক্ষোভ, আটক ২
যশোরে চালককে গলা কেটে হত্যার পর ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) মধ্যরাতে যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন সদর উপজেলার তফর নওয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গণির ছেলে হাসিবুর রহমান হাসিব (১৯) ও শহরের পূর্ব বারান্দী নাথপাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (১৯)।
বিজ্ঞাপন
রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ইজিবাইকের চালক আব্দুল্লাহ (১৮) যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর উত্তরপাড়ার মোজাদুল জামানের ছেলে ও যশোরে মুসলিম এইড ইনস্টিটিউটের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ইজিবাইক চালক আব্দুল্লাহকে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সদস্যরা। এরপর হত্যাকারীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
নিহতের বাবা মোজাদাদুজ্জামান বলেন, দুই ছেলের মধ্যে ছোট আব্দুল্লাহ। সে লেখাপাড়ার পাশপাশি ইজিবাইক চালাত। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়। তার মাকে সন্ধ্যার সময় ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল শহরে। বিকেলে তার মোবাইলে ফোন দিলে জানায় যাত্রী নিয়ে ঝিকরগাছার গদখালীতে গেছে। সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসে এবং ঘুরুলিয়া সাদ্দামের মোড়ে আবস্থান করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে বাড়ির দিকে রওনা হয়। কিন্তু আর ফেরেনি।
তিনি আরও বলেন, রাত ১০টা পর্যন্ত না ফেরায় বাড়ির ও এলাকার লোকজন খোঁজখবর নিতে থাকে। একপর্যায়ে ঘুরুলিয়া থেকে ছোট গোপালপুর যেতে বেলের মাঠ নামক স্থানে রাস্তার পাশে তার মরদেহ দেখতে পান এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবি ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত হাসিব ও আরিফ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক ও একটি চাকু এবং নিহতের একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জাহিদ হাসান/এনএ