পূর্ণিমা চাকমা

রাঙামাটিতে কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) পূর্ণিমা চাকমার মামাতো ভাই পলাশ চাকমা বাদী হয়ে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ইয়াসমিনের আদালতে মামলাটি করেন।

মামলায় পূর্ণিমা চাকমার গৃহকর্ত্রী নিকেতা দেওয়ান (৩৫), মল্লিকা দেওয়ান (৫৫), অঞ্জলি চাকমা (৫৫) ও প্রকাশ গান্ধীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিবরণ চাকমা জানান, পূর্ণিমা চাকমার মামাতো ভাই আদালতে হত্যা মামলা করেছেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে পলাশ চাকমা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পলাশ চাকমা বলেন, বোনকে হত্যার পর থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। তাই বোন হত্যার বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলা করেছি। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। নির্দেশ পাওয়া গেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমাকে প্রতিবেশীরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে অচেতন অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পূর্ণিমার মৃত্যুর ঘটনা শুনে উধাও হয়ে যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা। পরে ৩০ অক্টোবর তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।

পূর্ণিমা চাকমা জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বগাখালী এলাকার জুমিয়া সাধন চাকমার মেয়ে। তিনি রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পড়ালেখার কারণে জেলা শহরের রাজবাড়ী এলাকার মল্লিকা দেওয়ানের বাসায় থাকতেন। পূর্ণিমাকে মল্লিকা দেওয়ানের বাসায় রাখার ব্যবস্থা করেন দেন জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দা অঞ্জলী চাকমা গান্ধী।

মিশু মল্লিক/এনএ