রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) ছাত্রাবাস থেকে মুসফিকুর রহমান (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজের পিন্নু ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার ৪৭ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা পোস্টকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে কলেজের পক্ষ থেকে খবর জানানোর পর ছাত্রাবাসের দরজা ভেঙে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় লাশের শরীর শক্ত ছিল। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত করা হয়নি। আজ নাও হতে পারে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুসফিকুর রহমান নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চার মাস আগে বিয়েও করেছেন। তার বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। দু’বছর আগে তার পাস করার কথা ছিল। তার সহপাঠি অনেকেই ইর্ন্টান শেষ করেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নূরুন্নবী লাইজু বলেন, ওই শিক্ষার্থী ৪৩তম ব্যাচের। তিনি পাস না করায় পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমানে ৪৫তম ব্যাচের পরীক্ষা চলছে। তারও পরীক্ষা চলছিল। তিনি তার কক্ষে একাই ছিলেন। সন্ধ্যায় পিন্নু ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এটি অত্মহত্যা কীনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখে কিছু বলা যাবে না।


ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস