শেরপুরে ভোটকেন্দ্রে পুলিশের ফাঁকা গুলি, আহত ১৭
দ্বিতীয় ধাপে শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয়েছে। চলছে ভোট গণনা। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে উপজেলার চরশেরপুরের যোগনীমুড়া লছমনপুর, কুসুমহাটি, ঘিনাপাড়া, কামারিয়ার সূর্যদী, কামারচর, ৬নং চর চরপক্ষীমারী, জঙ্গলদি, পাকুড়িয়া, চকপাড়া ও গণইভরুয়া কেন্দ্রে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
তবে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ১৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় ৫টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হলেও পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। হাতিআগলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মুক্তাদির রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নারী ভোটারের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি ছিল। এবারের নির্বাচনে ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের ৭৩৪টি ভোট কক্ষে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বিজ্ঞাপন
শেরপুর সদর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে ৪৩ জন চেয়ারম্যান, ৫৩৪ জন ইউপি সদস্য ও ১৯৬জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।
জাহিদুল খান সৌরভ/আরএআর