পাথরঘাটা রণক্ষেত্র : পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক
পাথরঘাটায় নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ও ল্যাপটপসহ দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল গণসংযোগে নামলে তাকে কুপিয়ে জখম করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের কর্মী ও সমর্থকরা পাথরঘাটা শহরে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে পাথরঘাটা পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মোস্তাফিজের সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিনসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের ভাই পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে গণসংযোগে নামলে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হন। আমার ভাইয়ের ওপর হামলার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা আমাদের ঘরবাড়ি, সিসিটিভি ক্যামেরা, মাইক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আকনের সঙ্গে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পাথরঘাটার ওসিসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা পৌর এলাকা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই মুহূর্তে পাথরঘাটার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম