মুলার কেজি ২ টাকা, কৃষক বললেন পানিতে ফেলব
সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাটে মুলা বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক আবুল কাশেম
‘দুই টেহা করি মুলার কেজি দিছি, তাহো কাউও নানায়। ২৫০ টেহা গাড়ি ভাড়া করি হাটোত মুলা আনছি; বেছি না হইলে পানিত ফেলে দিয়া যাওয়া নাগবে।’
ভারাক্রান্ত মনে এভাবেই কথাগুলো বললেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার খোঁচাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক আবুল কাশেম। বাজারে মুলা বিক্রি করতে এসে দাম না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত এই কৃষক।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাটে আবুল কাশেমের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকের। এ সময় নিজের কষ্টের কথা জানান তিনি।
আবুল কাশেম বলেন, ‘অনেক দূর থাকি ৬-৭ মণ মুলা যাত্রাপুর হাটে আনছি। দুই টেহা কেজি দিছি তাও মানুষ নানায়। ১০ শতক ভুইওত (জমি) তিন হাজার টেহা খরচ করছোং; মুলার দাম নাই। এইজন্য তোলোং নাই। তা আজ যাত্রাপুর হাটোত ২৫০ টেহা ভাড়া দিয়া আনছি; তা এডাইও মুলা নানায়। গাড়ির ভাড়ায় উঠপার নয়, বেচি না হইলে পানিত ফেলে দিয়া যাইম।’
বিজ্ঞাপন
যাত্রাপুর হাটে মুলা বিক্রি করতে আসা আমিনুল নামেন আরেক কৃষক বলেন, গত হাটেও ৩-৪ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি করছি। আজ আরও দাম কম। দুই টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। তাও মানুষ নিচ্ছে না। এবার মুলা চাষে খুব ক্ষতি হয়েছে, আগামীতে আর মুলার চাষ করব না।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সদর উপজেলায় মুলার লক্ষমাত্রা ছিল ৫৫ হেক্টর জমিতে। তবে উৎপাদন হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়াও মুলার আমদানি বেশি থাকায় দাম কমে গেছে। বাজারে অনেক সবজি থাকায় মুলার প্রতি আগ্রহ কম ক্রেতাদের।
এএম