হারুনুর রশিদ

নার্সিং ডিপ্লোমা শেষ করা এক তরুণীর (২৬) সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় বিকাশ কর্মী হারুনুর রশিদের (৩০)। সখ্যতা থেকে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। ২ বছর ধরে চলছিল তাদের প্রেম।

জানা যায়, কয়েক মাস আগে ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকার অজান্তে মোবাইলে ধারণ করা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেন পরিচিতজনের ম্যাসেঞ্জারে। এতে বিপাকে পড়েন ওই তরুণী। পরে অশ্লীল ছবি মুছে ফেলার শর্তে সাবেক প্রেমিকার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা আদায়ও করেন হারুন। এরপর একই কাণ্ড চালিয়ে যান হারুন। দাবি করেন আরও টাকা।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ওই তরুণী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী নাটোর জেলার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী নগরীতে বসবাস করেন। অভিযুক্ত হারুন জেলার বাগমারা উপজেলার নামকান এলাকার শাহজাহান প্রামাণিকের ছেলে।

অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই নিজ বাড়ি থেকে হারুনকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর তাকে আদালতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল মতিন এই তথ্য জানান।

এদিকে, আদালতে নেওয়ার আগে নগর পুলিশ সদর দপ্তরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মোবাইলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। ফোনটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক অপরাধ স্বীকার করে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর