রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও বাগমারা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

এরা হলেন- গোদাগাড়ীর মোহনপুর ইউনিয়নের খয়রা হাজরা পুকুর এলাকার মো. আলীর ছেলে অহেদুল ইসলাম (১৮) এবং বাগমারার গণিপুর এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৫)।

অহেদুল ইসলামের মরদেহ পাওয়া গেছে বাড়ির অদূরে একটি আমবাগানে। আর পানবরজে পাওয়া গেছে হাবিবুর রহমানের মরদেহ। তবে পুলিশের ধারণা, তারা দুজনই আত্মহত্যা করেছেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় পানবরজের ভেতরে বাঁশের খুঁটিতে হাবিবুরের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে সেই মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, হাবিবুর রহমান উপজেলার চকমহব্বতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে চা বিক্রি করত। সকালে হাবিবুরের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান স্বজনরা।

স্বজনরা ধারণা করছিলেন, প্রতিদিনের মতো চায়ের দোকানে চলে গেছে হাবিবুর। কিন্তু চায়ের দোকানে না পেয়ে সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পানের বরজে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেনি পরিবার।

এদিকে, গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, সকালে গ্রামের একটি আমবাগানে অহেদুল ইসলামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি আরও বলেন, যেখানে মরদেহ পাওয়া গেছে, সেখানকার আমগাছের ডালে দড়িও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই