বিদ্রোহী প্রার্থী কেএম মাসুদ খান

ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র কেএম মাসুদ খান অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার প্রার্থিতা বহাল রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন। 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। এর ফলে কেএম মাসুদ খানের নির্বাচন করতে আপাতত আর কোনো বাধা রইল না। কেএম মাসুদ খানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। মাসুদ খানের আইনজীবী আকতার রসুল মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৩ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান মুন্সি তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র কেএম মাসুদ খানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রার্থী মাসুদ খানের পক্ষে আবেদন  করা হলেও গত ৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ বহাল রেখে আপিলটি খারিজ করেন  ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক। 

মনোনয়ন ফিরে না পাওয়ায় হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিট আবেদন করেন কেএম মাসুদ খান। ১৩ জানুয়ারি শুনানি শেষে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও মাহামুদ হাসান তালুকদারের যৌথ বেঞ্চ তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে রির্টানিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। 

সে অনুযায়ী মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। গত ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার ৮ সপ্তাহের জন্য এ আদেশ স্থগিত করেন আদালত। প্রার্থিতা ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন কেএম মাসুদ খান। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে কেএম মাসুদ খানের প্রার্থিতা বহাল রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি নলছিটি পৌরসভার নির্বাচন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, পৌরসভায়  ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২৪ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫০ জন ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৫১ জন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান মুন্সি জানান, উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা বহালের প্রথম নোটিশ অনুযায়ী কেএম মাসুদ খানকে প্রতীক দেয়া হয়েছে। 

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (বিদ্রোহী) কেএম মাছুদ খান বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে একটি মহলের ইঙ্গিতে অবৈধভাবে আমার মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন। নলছিটিবাসীর দোয়ায় ন্যায় বিচারে আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। নলছিটিবাসীর কাছ থেকে কেউ আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

ইসমাঈল হোসাইন/আরএআর