পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ইউপি সদস্যকে মারধরের মামলায় চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়কে (৫৩) আবারো কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) মামলার যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে প্রধান আসামি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়ের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন পঞ্চগড়ের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির সরকার। এছাড়া মামলার অপর দুই আসামির জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। 

অনিল চন্দ্র রায় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী হাজরা ডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, চেংরী হাজরা ডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামকে নিয়ে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাই রাতে ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় তার কার্যালয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্থানীয় ডাডুয়া হাটের শেডঘর নির্মাণ প্রকল্পের সচিব হিসেবে চেয়ারম্যান অনিলের কাছে প্রকল্পটির বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় এক পর্যায়ে শহিদুলকে মারধর করেন চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়। পরে স্থানীয়রা ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তিনি সুস্থ হয়ে গত বছরের ১৮ আগস্ট ওই চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে তার ছেলে মানিক চন্দ্র রায় (৩৫) ও তার সহযোগী কানাই চন্দ্র সেনকে (৩৮) আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। 

এদিকে মামলার পর গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর ইউপি চেয়ারম্যানসহ অপর দুই আসামি পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তারা জেলা জজ আদাল থেকে জামিনে মুক্ত হন। 

তবে মামলার তিন আসামি জামিনে থাকা অবস্থায় বিচারিক কাজ চলমান ছিল। এর মধ্যে পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেই সঙ্গে মামলার ছয়জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। 

এদিকে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট ইনচার্জ) আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মোট ৩ জন আসামি ছিল। প্রধান আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত এবং বাকি দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেছে।

রনি মিয়াজী/এমএএস