প্রত্যেককে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দলিল। এই দলিল বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দল, সংবাদকর্মী, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সব নাগরিকের। জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি বাস্তবায়নে সরকারি পর্যায়ে শুদ্ধাচারের বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকলেও নাগরিক সমাজের একটি বিশাল অংশের এই বিষয়ে কোনো ধারণা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর চেম্বার ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিরা। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, পরিবারের নৈতিক শিক্ষা শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা, প্রতিবেশীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা এবং প্রতিবেশীর অধিকারের বিষয়ে সজাগ থাকার মাধ্যমে পারিবারিক পর্যায়ে শুদ্ধাচার চর্চার অনুশীলন করা সম্ভব। দুর্নীতিমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রত্যেককে পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যার যার ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে।
সুজন রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মো. আব্দুল করিম, সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি সুশান্ত চন্দ্র খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সুজনের রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু। ধারণাপত্র পাঠ করেন সুজনের রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেন।
বিজ্ঞাপন
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন রংপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাশেম, কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. আলাউদ্দিন মিয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম, সুজনের রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবার রহমান, সনাক সদস্য মোশফেকা রাজ্জাক, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুধাংশু কুমার সাহা, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম, আরডিআরএস বাংলাদেশের হেড অব অ্যাডমিন মো. নজরুল গনি, রংপুর গ্রুপের পরিচালক মেজর অব. মো. নাসিম উদ্দিন, রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নাসিমা আমিন, চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, সংগঠক ডা. সমর্পিতা ঘোষ তানিয়া, নারী নেত্রী সুইটি আনজুম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মকসুদার রহমান মুকুল, সাংবাদিক ফরহাদুজ্জামান ফারুক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিড’র পরিচালক সারথী রানী সাহা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরমান আরাফাত অনিক প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মো. জাকারিয়া ও আশিনুর রেজা, সাংবাদিক সদরুল আলম দুলু, বেসরকারি সংস্থা পাস’র নির্বাহী প্রধান কেএম আলী সম্রাট, ব্র্যাকের প্রতিনিধি একেএম জাহিদুল ইসলাম, সুজনের রংপুর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বনমালী পাল, এনজিও ফোরামের আরএম শাহ মো. আহসান হাবীব, নারী নেত্রী ইফসানা তাসমিন, নাজনীন নাহার, অ্যাডভোকেট এএনএম খাইরুল ইসলাম বাপ্পী ও সাংবাদিক আফজাল হোসেন।
নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়কারী রাজেশ দে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর