গরুর ঘাস খাওয়ার প্রতিবাদ করায় মাগুরা শহরের পারন্দুয়ালী এলাকায় জোসনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জোহরা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মাগুরা শহরের পারন্দুয়ালী এলাকায় জিহাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী জোসনা বেগমকে মারপিট করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে রাতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত জোসনা বেগমের বড় ছেলে রুবেল শেখ অভিযোগ করে জানান, তাদের বাড়ির অদূরে নিজেদের একটি জমিতে তারা নেপিয়ার ঘাসের চাষ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই নেপিয়ার ঘাসের ক্ষেতে জিহাদ হোসেনের গরু ঢুকে পড়লে তার মা বিষয়টি তাদের জানায়। এ সময় জিহাদ হোসেনের সঙ্গে মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। দুপুরে মা ও বড় ভাই স্থানীয় কুমার নদ থেকে গোসল করে বাড়ি ফেরার পথে জিহাদ ও তার পরিবারের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুইজনের মধ্যে জোসনা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে মারা যায় মা। আহত রুবেল মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আমল আজ দুপুরে বলেন, নিহত জোসনা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এসপি