এক কাতলের দাম ২২ হাজার টাকা
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে জেলের জালে ২০ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালিপুর সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে শনিবার (২০ নভেম্বর) ভোরে জেলে রবি হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ছমির ব্যাপারীর ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রব ব্যাপারী মাছটি ২২ হাজার টাকায় কিনে নেন।
জেলে রবি হালদার পাবনার বেড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চরভদ্রাসন এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বিজ্ঞাপন
রবি হালদার বলেন, এই সময়ে পদ্মা নদীর চরভদ্রাসন অংশে বড় আকৃতির পাঙাশ, কাতল, বাগাড় ও ডাই মাছ ধরা পড়ে। এজন্য বছরের এই সময়টা আমরা চরভদ্রাসনে কাটাই। যাতে এসব মাছ ধরতে পারি। অনেকদিন পর বড় আকৃতির একটি কাতল ধরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। সচারাচর এসব মাছ আমরা পাই না।
জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে মাছটি হাজীগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসেন জেলে রবি হালদার। পরে হাজীগঞ্জ বাজারের মাছের আড়তদার শিবু মণ্ডলের আড়তে এনে মাছটি রাখা হয়। সেখান থেকে মাছটি ১৮ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন মাছের পাইকারী ব্যবসায়ী গোপল মণ্ডল। পরে গোপাল মণ্ডলের কাছ থেকে ক্রেতা আব্দুর রব ব্যাপারী ওই মাছটি ২২ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।
বিজ্ঞাপন
ক্রেতা আব্দুর রব ব্যাপারী বলেন, এত বড় মাছ সচারাচার ধরা পড়ে না। এ জন্য মাছটি দেখা মাত্রই কিনে ফেললাম। এই মাছ খাওয়ার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি।
চর হাজীগঞ্জ হাট বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির মো. কবিরুল আলম ব্যাপারী বলেন, বড় মাছ পাওয়া আমাদের ঐতিহ্য। এটি আমাদের ভাগ্যেরও ব্যাপার। সব জায়গায় বড় মাছ ধরা পড়ে না। বড় মাছ দেখে সবাই কিনতে চায়।
চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান বলেন, অন্যান্য এলাকার পানি অপেক্ষা পদ্মা নদীর পানি মিঠা। এই সময় এ এলাকায় বড় বড় মাছ বেশি দেখা যায়। এজন্য সম্প্রতি চরভদ্রাসনে বড় বড় বাগাড় পাঙাশসহ এসব মাছ ধরা পড়ছে।
জহির হোসেন/আরএআর