বন্ধ হলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান জেকা বাজার
অবৈধ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান জেকা বাজারের সব কার্যক্রম ও প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারাই তাদের এই প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম শহরের পান্না চত্তরের নান্নু টাওয়ারে জেকা বাজারের সিলগালা কার্যালয়ের সব ভেজাল পণ্য জব্দ করেন। পরে এসব পণ্য আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেকা বাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এমএলএম ব্যবসা করে আসছিল। যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। এছাড়া তারা এমএলএম ব্যবসার আড়ালে ভুয়া প্রসাধনী বিক্রি করে আসছিল। ওইসব পণ্যে বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন ছিল না। তাই জেকা বাজারে সিলগালা করে এদের সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেকা বাজারের নামে কোনো ব্যবসা চালানো যাবে না। তাদের যেসব বৈধ মসলা, ফেব্রিক্স ও ইলেট্রনিক পণ্য আছে সেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা তারা করতে পারবে।পরবর্তীতে কোথাও যদি তারা আবার এমএলএম ব্যবসা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
জেকা বাজারের কয়েকজন পরিচালক গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে বলেন, তাদের বর্তমানে যে সম্পদ আছে তা পর্যালোচনা করে আস্তে আস্তে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজবাড়ীর প্রধান কার্যালয় সিলগালা ও জরিমানা করার পর পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গায় জেকা বাজারের সঙ্গে জড়িতরা অফিস বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া আত্মগোপনে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবিউল্লাহ খান জাবের কালুখালী উপজেলা প্রকৌশলীর দফতরে অস্থায়ীভাবে কার্যসহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। জেকা বাজারে অভিযান চলার পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ভোক্তা অধিকার অভিযান চালিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার দায়ে জেকা বাজারকে সিলগালা ও ভেজাল পণ্য বিক্রির দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মীর সামসুজ্জামান/এসপি