পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে এ জেলায় হঠাৎ করে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। ফলে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার পাশাপাশি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির মতো শিশির ঝড়ছে। এতে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক  ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যারা এ হাড় কাঁপানো  শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন তারাও অনেকে কাজ না পেয়ে বাড়ির পথে ফিরতে শুরু করেছেন। কেউবা কাজের জন্য বসে অপেক্ষা করছেন। ফলে খেটে খাওয়া মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

এ বিষয়ে কথা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পাথর শ্রমিক নজরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ করে আজকে শীতের প্রকোপ বেশি। নদীর পানি ঠান্ডা হওয়ার কারণে আমরা পাথর শ্রমিকরা নদীতে নেমে পাথর উত্তোলন করতে পারছি না।  তাই বসে বেকার সময় পার করছি। 

একই কথা বলেন পঞ্চগড় শহরের ভ্যানচালক আসিরুল ইসলাম। তিনি জানান, সকাল থেকে অনেক শীত এবং কুয়াশা। সঙ্গে বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। তাই মানুষ তেমন একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এ জন্য আমরা বসে আছি। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে বাড়ছে শীত, বাড়ছে ঘন কুয়াশা এবং এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

রনি মিয়াজী/আরএআর