প্রশাসনের লোকজনকে পাশে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহত দুই জেলের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী নিহত দুই জেলের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি দুই পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র তুলে দেন।

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও মনোমিস্ত্রির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, প্রাথমিকভাবে সরকারের ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেজ (চাল, ডাল, দুধসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী) ও শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেওয়া হয়েছে দুটি পরিবারকে। তাছাড়া তাদের কোনো ঘর নেই বলে জেনেছি। 

তিনি বলেন, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়া হবে। বিধবা ভাতা ও এক গৃহবধূর শিশু সন্তানকে শিশু কার্ড করে দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি যে ধরনের সুবিধা রয়েছে তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সুন্দরবনে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত দুই জেলের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতে গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হন রতন ও মিজানুর রহমান। তাদের সঙ্গে থাকা অপর জেলে একই গ্রামের সাত্তারের ছেলে আবু মুসা জীবিত বাড়িতে ফেরেন। তবে বাঘের আক্রমণে নিহত ওই দুই জেলের মরদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আকরামুল ইসলাম/এসপি