বাথুলি সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয় ভবন

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাথুলি সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাথুলি সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, আয়া ও ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

এরপর চার পদে ৩৪ জন আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) চার পদের মধ্যে তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ২১ জন অংশ নেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ল্যাব সহকারী পদে পরীক্ষা হয়নি।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান নিজস্ব ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রশ্ন ফাঁস করেছেন। তিন পদের বিপরীতে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে নিজের প্রার্থীদের ফাঁসকৃত প্রশ্ন সরবরাহ করেন তিনি।

একাধিক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁস করে নিজস্ব চাকরিপ্রার্থীদের আগেই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছেন প্রধান শিক্ষক। সেই সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক অনেক প্রশ্ন করে পরীক্ষা কঠিন করা হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক, ডিজির প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীরা তুলতেই পারেন। তবে এখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল হাসান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ পাইনি। চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এএম