তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও মহালছড়ির সাত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের দুজন ও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে দীঘিনালার দুটি ও মহালছড়ির একটি ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। 

রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং অফিসাররা বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বোয়ালখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তফাকে ৪ হাজার ভোটে পরাজিত করে হ্যাট্রিক জয় পেয়েছেন জেএসএস-এমএন লারমা সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী চয়ন বিকাশ চাকমা। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ১৪৫ ভোট।

মহালছড়ি সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রতন কুমার শীল ৭ হাজার ৩৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লাব্রেচাই মারমা পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ ভোট। ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রুপেন্দু দেওয়ান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মুবাছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) বাপ্পী খীসা ৩ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট। 

সহিংসতা ও জাল ভোটের ঘটনায় দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্র, কবাখালী ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্র ও জাল ভোটের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মহালছড়ির মাইসছড়ি ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করায় সেখানে চূড়ান্তভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় এ তিন ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। 

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহেনসা মোহাম্মদ লতিফুল খায়ের বলেন, মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা এবং জাল ভোটের অভিযোগে দুই ইউনিয়নের চারটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ চারটি কেন্দ্রে নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

জাফর সবুজ/এসপি