মতিউর রহমান

পাবনা সদরের হেমায়েতপুর এলাকায় ট্রাকে তেল দেওয়ার সময় পেট্রল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভোর রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মৃত মতিউর রহমান (২১) নাজিরপুর খন্দকারপাড়া  গোলজার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ওই পাম্পে শ্রমিকের কাজ করতেন।

দগ্ধ অপর দুইজন হলেন শাকিল আহমেদ (২৪) আবু সাইদ (৩২)। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, সেদিন সকালে ৩ জন দগ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় পাবনা থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

বেঙ্গল পেট্রল পাম্পের এক কর্মচারী সকালে একটি ট্রাকে তেল দেওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। কর্মচারী মতিউর রহমানসহ ওই ট্রাকের দুইজন দগ্ধ হয়। কীভাবে এই বিস্ফোরণ হলো কিছুই বুঝে উঠার আগেই গায়ে আগুন লেগে যায় তাদের।
 
পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে দগ্ধ মো. মতিউর রহমানের শরীরের ৫২ শতাংশ, মো. শাকিল আহমেদের ৪৬ শতাংশ  ও সাইদের শরীরের ৫৬ শতাংশ দগ্ধ হওয়াতে তাদের দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

পাম্পের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, একটি ট্রাকে তেল দিচ্ছিল মতিউরসহ আরও দুইজন। ট্রাকের ওপরে একজন ধুমপান করছিল, বুঝতে না পেরে পাম্পের ওপর সিগারেটের বাকি অংশ ফেললে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে আমাকে ফোনে মৃত্যুর বিষয়টি তারা জানিয়েছেন। পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর