সাভারে ছুরিকাঘাতে সোহেল হোসেনকে (৩০) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তারই বন্ধু মানিক। হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মানিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। 

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফাহাদ হোসেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলমের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নিহত সোহেল নীলফামারীর জলঢাকা থানার পাঠানপাড়া গ্রামের মোকছেদুলের ছেলে। তিনি সাভারের মধ্য রাজাশন এলাকার জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে রিকশা চালাতেন।

গ্রেফতার মানিক রাজবাড়ী জেলা সদরের আহমেদ রাজ্জাকের ছেলে। তিনি সাভারের রাজশন এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ জনায়, গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাভারের মধ্যরাজাশন এলাকায় সোহেল হোসেন নামের এক রিকশাচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারই বন্ধু মানিক। পরে ২৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর এলাকা থেকে হত্যাকারী মানিককে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করে। 

মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সোহেলকে হত্যার সময় মানিক নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানান।

জানা গেছে, মানিক ও সোহেল হোসেন বন্ধুর মতোই চলাফেরা করতেন। বেশ ভাল সম্পর্কে ছিল তাদের মধ্যে। ঘটনার দিন সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মানিক। পরে সোহেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মোকছেদুল।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফাহাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় এজাহারনামীয় আরও আসামি রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

মাহিদুল মাহিদ/ওএফ