নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে প্রশাসনের ছোটখাটো অভিযানে সহিংসতা ও অপরাধ বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বুধবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এ সময় মন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। 

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, তার ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে সদ্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া মিজানুর রহমান ও শফিক নাওড়া এলাকার গত মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় তারা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩/৪ জন। অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গৃহপালিত পশুপাখি পুড়ে যায়। 

মন্ত্রী বলেন, নাওড়া এলাকাবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণেই রফিক গ্রুপের সস্ত্রাসীরা এ হামলা ও লুটপাট চালায়। এক্ষেত্রে আমাদের প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করলে সন্ত্রাসীরা এ ভয়াবহ কাজ করতে পারতো না। হামলার সময় তারা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোও এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। যারা এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে যথার্থ তৎপর নয় বলে সন্ত্রাসীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে যারা তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসী রফিক, মিজান ও শফিককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেবেন।

এ সময় মন্ত্রী ভুক্তভোগী নারীদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি। এ ঘটনায় নাওড়া এলাকার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জসুকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান, নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার আমির খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ- সার্কেল) আবির হোসেন, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূইয়া, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন ভূইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, আনসার আলীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া/আরএআর