ভোলায় অভিমান করে চেয়ারম্যানের দেওয়া ঈদ উপহার আগুনে পুড়িয়েছেন ইকবাল হোসেন রাজু নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়ার সঙ্গে অভিমান করে এ ঘটনা ঘটান তিনি। 

রাজু পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড হাওলাদার বাড়ির মো. নজির আহম্মদ হাওলাদারের ছেলে এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পাদক।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদের সঙ্গে অভিমান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভে এসে তার দেওয়া ঈদ উপহার দুটি পাঞ্জাবি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছেন রাজু।

রাজু তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে চেয়ারম্যানের দেওয়া পাঞ্জাবি দুটি পুড়িয়ে দেন। এ সময় ক্যাপশনে তিনি লেখেন-

‘অনেক দিন পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলাম। তার প্রচারণা করেছি। কিছুদিন হয় তার প্রচার-প্রচারণা করি না। ইউনিয়ন নিয়ে কিছু পোস্ট করলেও কারও নাম মেনসন করিনি। কিন্তু পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ তার কিছু লোক গায়ে পড়ে বিভিন্নভাবে কমেন্টস করে। তিনি আমাকে দুই ঈদে দু’টি পাঞ্জাবি দিয়েছেন। সেটা তার এক কর্মী আমার কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, মানে খোটা দিয়েছেন। এ কারণে তার দেওয়া দুইটি পাঞ্জাবি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছি। কেনো তার কাছ থেকে সরে গিয়েছি সেটা কেউ জানতে চাইনি।’

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনদের বিভিন্ন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, আমি বিগত দিনগুলোতে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদের সমর্থক ছিলাম। তার পক্ষে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেছি। কিছুদিন পূর্বে চেয়ারম্যান একটি ঘটনায় আমাকে অপমান করেছে। তারপর থেকে আমি প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছি। ইউনিয়নের কিছু সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা ফেসবুকে পোস্ট করি। ওই পোস্টে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা বাজে মন্তব্য করে। এমনও বলে যে, চেয়ারম্যানের দেওয়া পাঞ্জাবি পরে তার বিরুদ্ধে পোস্ট দেই। এ কারণে আমি তার দেওয়া দুই ঈদের উপহার পাঞ্জাবি দুটি পুড়িয়ে ফেলেছি।

চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান বলেন, আমি সবার চোখে ভালো হতে পারব না। আমার ওপর জনগণের অভিমান থাকতেই পারে। কিন্তু আমার ওপর অভিমান করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও জাতীয় পতাকাযুক্ত পাঞ্জাবি আগুনে পুড়িয়ে অবমাননা করবে তা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ভোলায় আমরা র‍্যালির সময় নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর ছবি যুক্ত লাল-সবুজের পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছিলাম। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পাদক রাজুকেও পাঞ্জাবি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ আমার ওপর অভিমান করে পাঞ্জাবি পুড়িয়ে সে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আহবান জানাচ্ছি তাকে দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি শাস্তি দেওয়া হোক।

ইমতিয়াজুর রহমান/আরআই