কক্সবাজার শহরের প্যারাবন রক্ষায় ১৩ দফা ও আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এবং জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের হাতে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

এ সময় জেলা প্রশাসক নদী দখল ও প্যারাবন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নদী ও প্যারাবন রক্ষার আশ্বাস দেন তিনি।

এর আগে নদী ও প্যারাবন রক্ষায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চিঠি, নদী পরিদর্শন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি। স্মারকলিপি প্রদানকালে সিরাজুল ইসলাম, নুরুল হোসাইন, সাইমুল কবীর চৌধুরী সাদমান ও মোহাম্মদ হোসেন বিন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।

১৩ দফা দাবি হলো বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখল বন্ধ করা, বাঁকখালী নদীর প্যারাবন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা, প্যারাবনে থাকা পাখির আবাসস্থল রক্ষা করা, নদীর জোয়ার-ভাটার প্রবাহ ভরাট বন্ধ করে নদীর গতিপ্রকৃতি ঠিক রাখা, জোয়ার-ভাটার প্রবাহ বিদ্যমান ও প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট প্যারাবনের জমি থেকে খাজনা আদায় বন্ধ করে সিকস্তির মাধ্যমে খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা, নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে সকল প্রকার দূষণ বন্ধ করা।

এছাড়া নদী দখল, প্যারাবন নিধন ও জোয়ার-ভাটার প্রবাহ বন্ধ করে ভরাটকারীদের আইনের আওতায় আনা, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা ও বালি উত্তোলনের নীতিমালা অনুসরণ করা, নদী-নদীতীরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্যারাবন সৃজন করা, নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা, নদী রক্ষা কমিটির কার্যক্রম জোরদার করা, নদীর সীমানা নির্ধারণ করা এবং আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরে শহরের কস্তুরাঘাটের বাঁকখালীর জোয়ার-ভাটা বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে প্যারাবনের হাজার হাজার গাছ কেটে ভরাট অব্যাহত রাখে দখলদাররা। সেখানে থাকা হাজার হাজার পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা হয়। ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক চলছে বাঁকখালী নদীতে। বর্তমানে নদীর শতাধিক একর জমিতে অবৈধ দখলদারদের রাজত্ব চলছে।

এমএসআর