প্রায় পাঁচ মাস আগের বগুড়া সদর থানার ক্লুলেস একটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। 

গত ২৮ জুন নিহত হন ডিমলা উপজেলার ছাতুনামার মৃত নহর উদ্দিনের ছেলে মৃত শমসের আলী (৫২)। ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই বলছে, ঠাট্টার ছলে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারান শমসের আলী। 

এ ঘটনায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুরের মৃত সাবুল্লাহের পুত্র মো. মোস্তফাকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, মোস্তফা ও মৃত শমসের আলী দীর্ঘদিন একসাথে বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরের কাজ করতেন। বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা ঘুরে ধানের জমিতে কাজ করতেন তারা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে,  মোস্তফা ও শমসের গত জুনে মাটিডালির একটি স’ মিলে ৭/৮ জনের সঙ্গে থাকা শুরু করেন। দিনের বেলায় কৃষিজমিতে কাজ করতেন তারা, রাতে স’ মিলে ঘুমাতেন। ২৮ জুন কাজ শেষে স’মিলে ফেরার পথে মম ইন পার্কের পেছনে করতোয়া নদীর ধারে তাদের দেখা হয়। গল্পের এক পর্যায়ে ঠাট্টার ছলে শমসেরের যৌনাঙ্গে লাথি মারেন মোস্তফা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শমসের। এতে আতঙ্কিত হয়ে শমসেরের মরদেহ বেঁধে নদীর তীরে ফেলে পালিয়ে যান মোস্তফা। পরদিন স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা হলেও পিবিআই মামলাটির তদন্ত শুরু করে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা থেকে মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। 

শরিফুল ইসলাম/এনএফ