তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক
দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে দিনদিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর শীতে তাপমাত্রা নিম্ন থাকে। তাছাড়া উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে গত এক সপ্তাহ থেকে এ জেলার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। ফলে মাঘ মাসের কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার ৫ উপজেলার খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষেরা।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। চলতি শীত মৌসুমে প্রায় ৫৫ দিন এ জেলায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আজ সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সাথে হিমালয়ের শিরশির হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে জেলার পাঁচ উপজেলা এ জেলার মানুষ মাঘ মাসের শীতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। সময় মতো কাজে বের হতে পারছেন না অনেকে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মাঘ মাসের কনকনে শীতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার ৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বয়স্করা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, হঠাৎ করে পঞ্চগড়ে শীত বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন শীতজনিত নানা রোগ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। আমরা রোগীদোর যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য রোগী ও তাদের স্বজনদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
রনি মিয়াজী/আরএআর