জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গুটিকার্টা এলাকার রমিজ উদ্দিন (২৮)। কৃষক বাবার সামর্থ নেই সমুদ্রে বেড়াতে নেবে। অজপাড়াগাঁয়ের ছেলেটি এই প্রথম স্বচক্ষে সৈকত দেখল। তবে সৈকতে বেড়াতে আসেননি তিনি। এসেছেন মেরিন ড্রাইভ আলট্রা ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। ম্যারাথনে অংশগ্রহণ একই সঙ্গে সাগর দর্শন, এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি।   

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের মাস উপলক্ষে মেরিন ড্রাইভ আলট্রা ম্যারাথন ২০২১  প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নেওয়ায় সৈকত উপভোগের সুযোগ পান। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো মেরিনড্রাইভ আলট্রা ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন তৃতীয় লিঙ্গ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও  হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ১০০ জন ও সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ২০০ জন প্রতিযোগী। যেখানে ৫০ কিলোমিটারে পঞ্চম স্থান অর্জন করে রমিজ।
 
রমিজের অনেকদিনের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, এত দিন ধরে তার একটা 'ছোট্ট স্বপ্ন' অধরা ছিল। অবশেষে আলট্রা ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তা পূরণ হলো। 

রমিজ উদ্দিন ১৯৯৩ সালে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গুটিকার্টা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মা ছাড়াও রমিজ উদ্দিনের দুই বোন রয়েছে।

রমিজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জন্মের শুরুতেই আমি ভিন্ন। আমার ভিতর ভালোবাসা রয়েছে। আমিও স্বপ্ন দেখতাম কখন পৃথিবীর বৃহত্তর সমুদ্র সৈকত দেখব। কিন্তু আমাকে সবাই একটু অন্যভাবে দেখে। তারপরও আমি আমার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আজ সমুদ্র সৈকতে পা রাখতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।

সাইদুল ফরহাদ/আরআই